ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে মূলত ইন্টারনেট ব্যবহার করে পণ্য, প্রতিষ্ঠান বা ব্রান্ডের প্রচারণা বা বিজ্ঞাপনকে বোঝায়। বিশেষ করে ফেইসবুক, ইউটিউব, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদির মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং করা সম্ভব। যেমন- মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, পিসি ব্যবহার করে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারেন।
অন্যথায়, ট্রেডিশনাল মার্কেটিং হচ্ছে- অনলাইনের বাহিরে যে সমস্ত পণ্য, প্রতিষ্ঠান বা ব্রান্ডের প্রচারণা বা বিজ্ঞাপনকে বোঝায়। যেমন- টেলিভিশন, সংবাদপত্র, বিভিন্ন সাইজের ব্যানার, ফেস্টুন, লিফলেট, রেডিও ইত্যাদির মাধ্যমে পণ্য বা সার্ভিসের প্রচারণা করা। এগুলোই হচ্ছে মূলত ট্রেডিশনাল মার্কেটিং।
অনলাইনে সম্পর্কে ধারণা পেতে এখানে ভিজিট করুন।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা
ডিজিটাল মার্কেটিং অন্যান্য মার্কেটিং এর তুলনায় প্রচারণা বেশি হয়। কারণ ডিজিটাল মার্কেটিং কৌশলে পণ্যের প্রচারণা দেশ-বিদেশে পৌঁছানো সম্ভব। অন্নান্য মার্কেটিং এর মাধ্যমে যা সম্ভব না।
ডিজিটাল মার্কেটিং এ জনশক্তির বেশি প্রয়োজন হয়না। তবে ডিজিটাল মার্কেটিং কৌসল অবলম্বনের ফলে আপনি আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সঠিক অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছে দিতে পারেন। এমনকি খুব কম সময়ের মধ্যেই আপনি আপনার পণ্য বা সার্ভিসের প্রচারণা বাড়াতে পারেন এবং ব্যাবসায়ে সহজেই সফলতা অর্জন করতে পারবেন।
কিভাবে অনলাইনে ইনকাম করবেন এই সম্পর্কে আরো জানতে এই সাইটে ভিজিট করতে পারেন।
ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের সফলতার উদাহরণ
মনে করেন আপনি আপনার ইউটুব চ্যানেল এ একটি রেসিপির ভিডিও দেখছেন। হঠাৎ আপনার সামনে রান্নার তেলের একটি এড আসলো। এড দেখার পর আপনার কাছে তেল তা ভাল লাগলো। এছাড়া রান্নার জন্য আপনি নিশ্চয়ই ভাল মানের তেল ব্যবহার করবেন।
এমনকি আপনি সেই এড এর মাধ্যমে দেখানো ভাল মানের তেলটি কিনলেন। এখানে আপনাদের উভয়েরই লাভ হয়েছে। কেননা, এখানে কোম্পানির প্রোডাকটি আপনি কিনলেন এটা কোম্পানির লাভ। আর আপনার প্রয়োজন ভাল মানের রান্নার তেল। আপ্নিও ভাল মানের তেল কিনতে পারলেন। অর্থাৎ এটাই হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কৌশল এবং সফলতা।
ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার ও কি কি?
মার্কেটিং এর চ্যানেল এবং কন্টেন্টের ধরণের ওপর ভিত্তি করে ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পূর্ণ আলাদা। এটি পরস্পরের সাথে সম্পর্কিত হবার কারণে নিদৃষ্ট কোনো সংখ্যায় ভাগ করা হয়নি। তবে সাধারণ ভাবে আমরা ১০ প্রকার এর সাথে বেশি পরিচিত।
যেমন:
- সার্চ ইঞ্জিন অপ্টোমাইজেশন
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
- ইমেইল মার্কেটিং
- এফিলিয়েট মার্কেটিং
- কন্টেন্ট মার্কেটিং
- স্পন্সার মার্কেটি্কেটিং
- গুগল এড
- ওয়েব এনালাইটিক্স
- সিপিএ মার্কেটিং
- পিপিসি মার্কেটিং
ট্রেডিশনাল মার্কেটিং এর সুবিধা
ট্রেডিশনাল মার্কেটিং এর সুবিধা বলতে সাধারণত খরচ কিছুটা কম লাগে। এছাড়া আর বেশি কিছু সুবিধা আছে বলে মনে হয়না। ট্রেডিশনাল মার্কেটিং মূলত টেলিভিশন, রেডিও, সংবাদপত্র, বিভিন্ন সাইজের ব্যানার, ফেস্টুন, লিফলেট ইত্যাদির মাধ্যমে পণ্য বা সার্ভিসের প্রচারণা এবং ব্র্যান্ডিং করাকে বুজায়।
ট্রেডিশনাল মার্কেটিং এ টাকার পরিমান একেবারেই যে কম যায় তা নয়। ডিজিটাল মার্কেটিং এর চেয়ে সামান্য কিছু টাকা সেফ হয়। কিন্তু সময় বেশি লাগে এবং ফলাফল অনেক কম। এমনকি আপনার টার্গেটেড অডিয়েন্সের কাছে আপনার পণ্যের প্রচারণা পৌছায় না। ফলে আপনার পণ্যের সেল ও কম হয়।
আপনার পণ্যের প্রচার বিশ্বের সব জায়গার মানুষ জানতে পায়না। আর জানতে না পাওয়ার কারণেও আপনার পণ্যের সেল বা ব্র্যান্ডিং হয়না।
কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে এসবই সম্ভব যদিও ডিজিটালন মার্কেটিং এর কৌশল অবলম্বনে খরচটা একটু বেশি হয়। বিশেষ করে আমাদের এই বাংলাদেশে বেশির ভাগ কোম্পানি গুলোই ট্রেডিশনাল মার্কেটিং কৌশলকে বেঁচে নিয়েছে। যার জন্য তাদের প্রচারণা অনেক কম।
তবে দিন দিন ট্রেডিশনাল মার্কেটিং এর চাহিদা অনেকটাই কমে যাচ্ছে। এমনকি ভবিষ্যতে এর চাহিদা আরও কমে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
ট্রেডিশনাল মার্কেটিং এর একটি উদাহরণ
ট্রেডিশনাল মার্কেটিং করে অনেকেই সফল হয়েছে এটা ঠিক আছে। তবে এর চাহিদা অতীতেই বেশি ছিল। তবে এই ডিজিটাল মার্কেটিং জগতে ট্রেডিশনাল মার্কেটিং এর চাহিদা দিন দিন কমেই যাচ্ছে।
মনে করেন আপনি টেলিভিশন দেখছেন, হঠাৎ আপনার সামনে বাচ্চাদের ডায়াপারের একটি এড আসলো । তবে আপনার বাসায় কোনো বাচ্চা নেই যে এই ডাইপারটি আপনার প্রয়োজন। অর্থাৎ এখানে কোম্পানির কোনো লাভ হলো না। আপনার তো হলোই না।
অর্থাৎ, ট্রেডিশনাল মার্কেটিং কৌশল অনেকটাই অন্ধকারে ঢিল মারার মতোই কাজ করে। হয়তো আপনার টার্গেটেড অডিয়েন্সের কাছে আপনার পণ্যের প্রচার পৌঁছতেও পারে আবার নাও পৌঁছতে পারে।
ট্রেডিশনাল মার্কেটিং কত প্রোকার ও কি কি?
ট্রেডিশনাল মার্কেটিং কে আলাদা একটি নাম দেওয়া হয়েছে। সেটা হচ্ছে- গতানুক মার্কেটিং। আমাদের বাংলাদেশে এই গতানুগতিক মার্কেটিংয়ের এখনও অনেক প্রভাব রয়েছে। এই মার্কেটিং কৌশল মানুষের বুজতে সুবিধা হয়। তাই বাংলাদেশে এই গতানুগত মার্কেটিং কৌশলটা বেশি ব্যাবহৃত হচ্ছে।
তাই আমাদের দেশের মানুষ এই গতানুগত মার্কেটিংয়ের সাথে বেশি পরিচিত। নিচে এই গতানুগত মার্কেটিং অর্থাৎ ট্রেডিশনাল মার্কেটিং এর কয়েকটি প্রকারভেদ উল্লেখ করলাম।
- নিউজ পেপার এড
- ম্যাগাজিন এড
- টেলিভিশন এড
- ব্যানারের এড
- রেডিও এড
- ক্যালেন্ডারের এড
- ফ্লায়ার এড
- পেস্টুন এড
- লিফলেট এর এড
অর্থাৎ উপরিউক্ত মার্কেটিং কৌশলগুলো আপনার পণ্যের প্রচারের বৃদ্ধি করবে ঠিক। তবে এতে অনেক সময়ের প্রয়োজন হবে।
শেষ বক্তব্য:
উপরোক্ত আলোচনা হতে আপনি আপনার ব্যাবসায়ের প্রচারণা বাড়াতে পারেন। তবে এর জন্য আপনি কোনটা বেঁছে নিবেন সেটা আপনার ইনভেস্টের ওপর নির্ভর করে। বিশ্বের অনেক বড় বড় কোম্পানিগুলো তাদের পরিচিতি বাড়ানোর জন্য তাদের লাভের প্রায় ৬০% অর্থ ব্যায় করে শুধুমাত্র তাদের প্রোডাক্টের পরিচিতি অথবা প্রমোশন বাড়াতে।
সেক্ষেত্রে আপনিও যদি আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের প্রচার কিংবা প্রমোশন প্রমোশন করতে চান। তাহলে আপনার উচিত ডিজিটাল মার্কেটিং কৌশল অবলম্বন করা। এতে করে আপনি আপনার ব্যাবসায়ের জন্য ১০০% সফল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
অন্যথায়, ট্রেডিশনাল মার্কেটিং কৌশল ব্যবহার করতে গিয়ে আপনার অনেক অর্থ ব্যায় হয়। তবে সেই ক্ষেত্রে অনেক সময়ের ও প্রয়োজন।
কিন্তু সঠিক কাস্টোমার দের কাছে পৌঁছানো অসম্ভব হয়ে পরে। এমনকি ট্রেডিশনাল মার্কেটিং কৌশলে প্রোডাক্ট প্রমোট করতে গিয়ে সফলতার হার ৫০% থাকে। এতে নিদৃষ্ট কোনো সম্ভাবনা নেই।
Thanks ? for sharing the informative post.